মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা

মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় "মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর?" সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। যদি আপনি মুক্তিযুদ্ধের যেকোন দুটি সেক্টর সম্পর্কে সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। 


কারণ এই পোস্টে মুক্তিযুদ্ধের যেকোন দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনারা পুরো পোস্ট পড়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে এবার মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে জেনে নিন- 


মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা


মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে জানার গুরুত্বঃ 

মুক্তিযুদ্ধের যেকোন দুটি সেক্টর সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। করন মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলতা অর্জনের লক্ষে রণাঙ্গণকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা ছিল যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে যুদ্ধের সমগ্র এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখভাল করা সম্ভব হয় এবং অর্জিত হয় বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। 


যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের ছাত্র তাদের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে - মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর? নিম্নে আমি সেই প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে দিয়েছি। আপনারা উত্তরটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে জানার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। 


আরো পড়ুনঃ আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পটভূমি ব্যাখ্যা


মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর? 

উত্তর : ভূমিকা : 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকেই ঢাকা শহরসহ বাংলাদশের প্রায় প্রতিটি জেলা শহরে ই.পি.আর, আনসার, ছাত্র, শ্রমিক বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী এবং সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের সমন্বয়ে মুক্তি বাহিনী গড়ে উঠে। 


কিন্তু অতর্কিত আক্রমণের মুখে যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল তা সুপরিকল্পিত ছিল না এবং কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিতও ছিল না। তাই মুজিব নগরে অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ চলেছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও বিক্ষিপ্তভাবে। এরপর পেশাদার সৈন্যদের নিয়ে নিয়মিত, স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনী গঠিত হয়। 


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল এর মধ্যে দুটি সেক্টরের বর্ণনা করা হলো : 


  • ১ নম্বর সেক্টর : চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ফেনী (ফেনী নদী পর্যন্ত)। ১৯৭১ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। এরপর এ সেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন (পরে মেজর) মোহাম্মদ রফিক। 


  • ২ নম্বর সেক্টর : নোয়াখালী জেলা, আখাউড়া-ভৈরব রেলাইন পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা, ঢাকা জেলার ঢাকা এবং ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে এখানকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার ।


উপসংহার : 

আলোচ্য আলোচনা শেষে বলা যায় যে, মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলতা অর্জনের লক্ষে রণাঙ্গণকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা ছিল যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে যুদ্ধের সমগ্র এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখভাল করা সম্ভব হয় এবং অর্জিত হয় বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। 


পরিশেষে বলতে চাচ্ছিঃ 

এই ছিলো মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা। আশা করছি আপনারা মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা উপরের পোস্ট থেকে মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা "মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা কর?" এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আশা করছি মুক্তিযুদ্ধের দুটি সেক্টর সম্পর্কে আলোচনা নিয়ে এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে। যদি এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়াও এরকম আরো নতুন পোস্ট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে মেসেজের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

Share This Article On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url