ফেসবুক আইডি রিপোর্ট খাওয়া থেকে বাচানোর ১০টি কার্যকরি উপায়

অনেক সময় আমাদের ফেসবুক আইডিতে অনেকেই রিপোর্ট দিয়ে থাকে। ফেসবুক আইডিতে কেউ রিপোর্ট করলে সেই ফেসবুক আইডি লক হওয়ার পাশাপাশি ডিজেবল হতে পারে। অর্থাৎ ফেসবুক আইডি ঠিক রাখার জন্য আমাদের ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচার উপায় জানেনা। 


যদি আপনি ফেসবুক একাউন্ট রিপোর্ট থেকে বাঁচার উপায় না জানেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টে আমি "কিভাবে ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচাতে হয়" তার উপায় দেখাবো। আপনারা ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচার নিয়ম জানার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনাদের ফেসবুক আইডি নিরাপদ করে রাখতে পারবেন।


ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাচার উপায়


ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাচানোর কারণঃ 

আমরা সকলেই কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক ব্যবহার করার জন্য আমাদের সকলের ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে। আমরা কখনোই চাইবো না আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নষ্ট হয়ে যাক। কারণ আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের সেই ফেসবুক একাউন্টে থাকা সকল স্মৃতি নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ সেই ফেসবুকে একাউন্টের সকল পোস্ট, মেসেজ ছবি, ভিডিও, ফ্রেন্ড লিস্টের ফ্রেন্ড সবকিছু ডিলিট হয়ে যায়। 


তখন আমাদেরকে আবার নতুন করে ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হয় এবং আগের মতো সাজাতে হয়। এই কারণে আমরা কখনোই চাইনা আমাদের পার্সোনাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নষ্ট হয়ে যাক। পার্সোনাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঠিক রাখার জন্য আমাদেরকে ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচাতে হবে। কারণ আপনার ফেসবুক আইডি তখন নষ্ট হতে পারে যখন কেউ আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করবে। 


যদি কেউ শত্রুতা বসত অথবা অন্য কোনো কারণে আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করে তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি দেখে আপনার ফেসবুক আইডিতে সমস্যা রয়েছে অথবা যে আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করেছে সে সঠিক রিপোর্ট দিয়েছে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যাবে। 


এই কারণে আমাদেরকে অবশ্যই ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচার উপায় জানতে হবে। ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচার উপায় জানলে আমাদের ফেসবুক আইডিতে কেউ রিপোর্ট করতে পারবে না এছাড়াও কেউ যদি শত্রুতা করে রিপোর্ট করে তারপরেও আমাদের ফেসবুক আইডির কিছু হবে না। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে শেয়ার অপশন চালু করার নিয়ম

ফেসবুক একাউন্ট রিপোর্ট খেলে নষ্ট হওয়ার কারণঃ

অনেকেই ভাবতে পারেন আমার ফেসবুক আইডিতে যদি কেউ রিপোর্ট করে তাহলে নষ্ট হয় কেনো? তাছাড়া যে কেউ চাইলে একে অন্যের ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করতে পারবে। এখন আপনি হয়তো ভাবতে পারেন তাহলে তো আমার ফেসবুক আইডিতে যে কেউ রিপোর্ট করে নষ্ট করতে পারে? 


না, আপনার ফেসবুক আইডি চাইলে যে কেউ শত্রুতা করে রিপোর্ট দিয়ে নষ্ট করতে পারবেনা। কারণ একটি ফেসবুক একাউন্টে রিপোর্ট দেওয়ার সময় সেই ফেসবুক একাউন্টে কি কারনে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে সেই কারণ উল্লেখ করতে হয়। যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে কেউ রিপোর্ট দেয়ার সময় নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে দেয় এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেখে আপনার ফেসবুক একাউন্ট তাদের কমিউনিটি গাইডলাইনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল অথবা লক করে দিবে। 


তাছাড়া যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেখে আপনার আইডিতে কোনো সমস্যা নেই অর্থাৎ আপনি ফেসবুকের সকল নিয়ম মেনে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন তাহলে কেউ যত ইচ্ছা আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করেও কোনো কিছুই করতে পারবেনা। এই কারণে আমাদেরকে ফেসবুকের নিয়ম জানতে হবে। 


ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাচার উপায়ঃ 

ফেসবুক একাউন্ট রিপোর্ট থেকে বাচার জন্য যেসকল নিয়ম মানতে হবে তা হচ্ছে-  


  • ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম ব্যবহার করতে হবে. 

  • ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার করতে হবে. 

  • ফেসবুক ফেক আইডি ব্যবহার করা যাবে না.

  • একই নাম এবং ছবি ব্যবহার করে দুইটি বা একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না.

  • খারাপ পোস্ট করা যাবে না.

  • মেসেঞ্জারে অথবা ইনবক্সে কাউকে খারাপ ইমেজ অথবা গালি দিয়ে মেসেজ করা যাবে না, 

  • ফেসবুকের কোনো পোস্টেই খারাপ কমেন্ট করা যাবে না. 

  • অন্যের পোস্ট সরাসরি কপি করা যাবে না. 

  • নিজের ফেসবুক আইডিতে অন্যের ছবি আপলোড করা যাবে না. 

  • ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করা. 


এবার তাহলে উপরিউক্ত ফেসবুক নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন- 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক প্রোফাইল সুন্দর করার উপায়.

ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম ব্যবহার করাঃ 

আমরা অনেকেই আমাদের ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম ব্যবহার করিনা। ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম ব্যবহার না করলে আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যেকোনো সময় লক অথবা ডিজেবল হয়ে যেতে পারে। কারণ যদি কেউ আপনার ফেসবুক আইডিতে Fake Name উল্লেখ করার রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। 


এই কারণে আপনার ফেসবুক আইডিতে অবশ্যই নিজের নাম ব্যবহার করবেন। নিজের নাম বাদ দিয়ে পরি মনি, অবুঝ মন, নীল আকাশের পরী, এঞ্জেল রিয়া, এরকম নাম ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ফেসবুক আইডিতে কেউ রিপোর্ট করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরো দেখুনঃ ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন করার নিয়ম.

ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার করাঃ 

ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার করা। আমরা অনেকেই আমাদের ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার করিনা। যদি আমরা ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার না করি অর্থাৎ আমাদের ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি না থাকে তাহলে ফেসবুক সেই আইডি ফেক হিসেবে ধরে। 


এতে কেউ যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে ফেক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণে একটি দুইটি হলেও আপনার ফেসবুক আইডিতে নিজের ছবি ব্যবহার করবেন। তবে যদি আপনার ভয় থাকে নিজের ছবি ফেসবুকে আপলোড করলে কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে সেই ছবি ব্যবহার করতে পারে তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট লক করে দিবেন অথবা মুখ ঢেকে ছবি আপলোড করবেন। 

 

ফেসবুক ফেক আইডি ব্যবহার না করাঃ 

আমরা অনেকেই ফেসবুক ফেক আইডি ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক ফেক আইডি বলতে যেসব ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম এবং ছবি ব্যবহার করা হয় না সেইসব ফেসবুক আইডিকে ফেসবুক ফেক অ্যাকাউন্ট হিসেবে ধরা হয়। যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম ও ছবি না থাকে তাহলে যে কেউ চাইলে আপনার ফেসবুক আইডিতে ফেক অ্যাকাউন্ট নামে রিপোর্ট করে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট করে দিতে পারবে। 


এই কারণে আপনার ফেসবুক আইডিতে নিজের নাম এবং ছবি ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনার ফেসবুক আইডি এমনভাবে সাজাবেন যাতে আপনার ফেসবুক আইডি দেখলে আপনার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এতে আপনার ফেসবুক আইডি ফেক হিসেবে গণ্য হবে না এবং আপনার ফেসবুক আইডি কেউ ফেক অ্যাকাউন্ট নামে রিপোর্ট করে নষ্ট করতে পারবেনা। 

আরো দেখুনঃ ফেসবুক ফেক আইডি চেনার উপায়

একই নাম ও ছবি দিয়ে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলাঃ 

আমরা অনেক সময় নিজের নাম এবং ছবি দিয়ে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলি। ভুলেও নিজের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে একটির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবেনা। কারণ যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে আপনার নিজের নাম এবং ছবি দিয়ে একটির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাহলে আপনার পুরাতন ফেসবুক একাউন্ট রেখে বাকি সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডিজেবল করে দিবে। 


কারণ ফেসবুক মনে করবে হয়তো আপনার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে অন্য কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই কারণে একই নাম এবং ছবি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। এতে কেউ যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার পুরাতন ফেসবুক আইডি ঠিক থাকবে কিন্তু পরে যে সকল ফেসবুক আইডি একই নাম এবং ছবি ব্যবহার করে খুলেছিলেন সবগুলো নষ্ট হবে। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার নিয়ম

ফেসবুকে খারাপ পোস্ট করাঃ 

অনেকেই তাদের ফেসবুক আইডি দিয়ে ফেসবুকে খারাপ পোস্ট করা থেকে। খারাপ পোস্ট বলতে খারাপ ভাষায় লিখে সেটাকে পোস্ট করা। এছাড়া অনেকেই ১৮+ অর্থাৎ খারাপ ইমেজ তাদের ফেসবুক আইডি থেকে আপলোড করে থাকে। আপনার খারাপ পোস্টের কেউ রিপোর্ট করলে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হবে।


যদি কেউ তার ফেসবুক আইডিতে খারাপ পোস্ট, ইমেজ অথবা ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে তাহলে তার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হবে। কারণ ফেসবুকের নিয়ম নীতিতে বলে দেয়া হয়েছে কেউ খারাপ পোস্ট, ফটো, ভিডিও ইত্যাদি ফেসবুকে আপলোড করলে তার ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল করে দেয়া হবে। এই কারণে আপনার ফেসবুক আইডিতে এই সকল খারাপ পোস্ট করবেন না। 


ইনবক্সে কাউকে খারাপ ভাষায় মেসেজ ও ছবি পাঠানোঃ 

অনেকেই ফেসবুকের ইনবক্সে অর্থাৎ মেসেঞ্জারে অন্যকে খারাপ ভাষায় গালাগালি করে থাকে। যদি আপনি ইনবক্সে কাউকে খারাপ বাসে গালাগালি করেন এবং সেই ব্যক্তি আপনার মেসেজে রিপোর্ট করে তাহলে আপনি মেসেজ ব্লক হয়ে যাবেন। এতে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাউকে এসএমএস করতে পারবেন না। 


এছাড়াও যদি আপনি কাউকে খারাপ ইমেজ পাঠান এবং সেই ব্যক্তি আপনার সেই ইমেজের রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি লক হওয়ার পাশাপাশি ডিজেবল হতে পারে। এই কারণে কখনোই ফেসবুকে ইনবক্সে কাউকে খারাপ ভাষায় গালাগালি এবং খারাপ ইমেজ পাঠাবেন না। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করার নিয়ম

ফেসবুক পোস্টে খারাপ কমেন্ট না করাঃ 

আমরা অনেকেই অন্যের ফেসবুক পোস্টে খারাপ কমেন্ট করে থাকি। যদি আপনি অন্যের ফেসবুক পোস্টে খারাপ কমেন্ট অর্থাৎ গালাগালি করে থাকেন তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট করে দিবে। অর্থাৎ মনে করুন আপনি কারো ফেসবুক পোস্টে খারাপ কমেন্ট করলেন। এখন কেউ যদি সেই কমেন্টে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট তিন দিন, সাত দিন অথবা এক মাসের জন্য ব্লক করে দিবে। 


আপনার ফেসবুক একাউন্ট যতদিনের জন্য ব্লক করবে আপনি ততদিন ফেসবুকে পোস্ট, কমেন্ট ও লাইক দিতে পারবেন না। এই কারণে ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করার সময় সাবধান থাকতে হবে। কোনো অবস্থায় গালাগালি অথবা খারাপ ভাষায় কমেন্ট করবেন না। 


অন্যের পোস্ট কপি করাঃ 

ফেসবুকে অন্যের পোস্ট ভালো লাগলেই আমরা সেই পোস্ট কপি করে আমাদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে থাকি। আগে এই কাজ করলে সমস্যা না হলেও বর্তমানে ফেসবুক আপডেট হওয়ার কারণে যদি কেউ অন্যের পোস্ট কপি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে তাহলে সমস্যা হবে। 


কারণ আপনি যার ফেসবুক পোস্ট কপি করবেন সেই ব্যক্তি যদি আপনার কপি করা ফেসবুক পোস্টে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লক হওয়ার পাশাপাশি ডিজেবল হতে পারে। এই কারণে কখনোই অন্যের পোস্ট কপি করবেন না। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক গ্রুপে নিজের নাম হাইড করে পোস্ট করার উপায়

নিজের ফেসবুক আইডিতে অন্যের ছবি আপলোড করাঃ 

নিজের ফেসবুক আইডিতে অন্যের ছবি আপলোড না করাই ভালো। কারণ আপনি যার ছবি ফেসবুকে আপলোড করবেন সেই ব্যক্তি যদি আপনার আপলোড করা ছবিতে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হতে পারে। যেমন মনে করুন আপনি আপনার বন্ধুর ছবি আপনার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করলেন। 


এখন আপনার বন্ধু যদি শয়তানি করে আপনার আপলোড করা সেই ছবিতে রিপোর্ট করে তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনে করবে আপনি হয়তো আপনার বন্ধুর ছবি আপলোড করে তাকে হেনস্তা করতেছেন। অতঃপর আপনার ফেসবুক আইডি লক অথবা ডিজেবল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনার মনে হয় আপনি যার ছবি ফেসবুকে আপলোড করলেন সে আপনার আপলোড করা ছবিতে রিপোর্ট করবে না তাহলে নিঃসন্দেহে আপলোড করতে পারেন। 


ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করাঃ 

ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাচার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করা। যদি আপনি আপনার ফেসবুক আইডি এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন অথবা অন্য কোনো ভেরিফিকেশন করার মাধ্যম দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করেন তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি হবে সুরক্ষিত। 


এই অবস্থায় যদি কেউ আপনার ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট হবেনা। এই কারণে আপনি ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাঁচাতে চাইলে আপনার ফেসবুক আইডি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভেরিফাই করে রাখতে পারেন। 

আরো দেখুনঃ ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম

উপসংহারঃ 

এই ছিলো ফেসবুক আইডি রিপোর্ট থেকে বাচার সকল উপায়। আপনারা এখানে দেয়া নিয়মগুলো মানার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক আইডি রিপোর্ট হওয়ার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারবেন। এতে আপনার ফেসবুক আইডি হবে সুরক্ষিত এবং আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা এই পোস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জানাতে পারেন। এরকম টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক, ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন। 

Share This Article On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url