সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য - সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে চারটি পার্থক্য

সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। যদি আপনি সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য। 


কারণ এই পোস্টে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে। আপনারা পুরো পোস্ট পড়ার মাধ্যমে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে এবার সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনে নিন-  


সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য


সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য জানার গুরুত্বঃ 

সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য আমাদেরকে জানতে হবে। কারণ সংস্কৃতি ও সভ্যতা সমাজবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও সাধনার দ্বারা সংস্কৃতি সৃষ্টি এবং পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে তা পরিপুষ্ট লাভ করে। মূলত সাংস্কৃতিক জ্ঞানের কারণেই মানব প্রকৃতিতে ঘটে চলেছে পরিবর্তন। আবির্ভাব হচ্ছে মানব সভ্যতার। 


এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। যারা সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র তাদের সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি সাবজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে - সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর অথবা সংস্কৃতি ও সভ্যতার চারটি পার্থক্য নির্দেশ কর। নিম্নে আমি সেই প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে দিয়েছি। আপনারা উত্তরটি পড়ে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য জানার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর অথবা সংস্কৃতি ও সভ্যতার চারটি পার্থক্য নির্দেশ কর এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। 


সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করঃ 

ভূমিকাঃ 

সংস্কৃতি ও সভ্যতা সমাজবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ও সাধনার দ্বারা সংস্কৃতি সৃষ্টি এবং পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে তা পরিপুষ্ট লাভ করে। 


মূলত সাংস্কৃতিক জ্ঞানের কারণেই মানব প্রকৃতিতে ঘটে চলেছে পরিবর্তন। আবির্ভাব হচ্ছে মানব সভ্যতার। সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে ক্রমবিবর্তনের ধারা চিরকাল থাকবে। 


সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্যঃ 

নিম্নে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো- 


  • সভ্যতা পরিমাপযোগ্য কিন্তু সংস্কৃতি পরিমাপ যোগ্য নয়। 
  • সভ্যতা সর্বদাই অগ্রসরমান কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্র গতিতে। 
  • সভ্যতা অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল। অন্যদিকে সংস্কৃতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়।
  • সভ্যতা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করা যায়। অন্যদিকে সংস্কৃতি উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করা যায় না।
  • সভ্যতা কষ্ট ছাড়াই অর্জন করা যায় আর সংস্কৃতি অর্জন করতে হয়। 
  • সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে সভ্যতা গড়ে উঠে অন্যদিকে সমাজের মৌলিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে সংস্কৃতি। 


উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে সভ্যতা ও সংস্কৃতি দুটি উপাদানের মানব কল্যাণ সাধন করে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান। সংস্কৃতি থেকে সভ্যতার উদ্ভব। সভ্যতা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করা যায় কিন্তু সংস্কৃতি অর্জন করতে হয়। সমাজ ও মানব কল্যাণে উভয় উপাদান ব্যবহৃত হয়। সভ্যতা ও সংস্কৃতি অনুকূল পরিবেশে বিকাশ লাভ করে। সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে সভ্যতা গড়ে উঠে। সমাজের মৌলিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। 


পরিশেষে বলতে চাচ্ছিঃ

এই ছিলো সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য। আশা করছি আপনারা সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য জানতে পেরেছেন। আপনারা উপরের পোস্ট থেকে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য জানার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে লেখ এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আশা করছি সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে। যদি এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়াও এরকম আরো নতুন পোস্ট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে মেসেজের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

Share This Article On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url