বাগদাদ নগরী সম্পর্কে টীকা ও সংক্ষেপে আলোচনা, বাগদাদ নগরী সম্পর্কে লিখ
বাগদাদ নগরী সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় বাগদাদ নগরী সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। যদি আপনি বাগদাদ নগরী সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।
কারণ এই পোস্টে বাগদাদ নগরী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে। আপনারা পুরো পোস্ট পড়ার মাধ্যমে বাগদাদ নগরী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে এবার বাগদাদ নগরী সম্পর্কে টীকা জেনে নিন।
বাগদাদ নগরী সম্পর্কে জানার গুরুত্বঃ
ইসলামের ইতিহাসে বাগদাদ নগরী অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। খলিফা মনসুর কতৃক চার বছরব্যাপী নির্মিত এই নগরী আব্বাসীয় শাসনের একটি গৌরবময় বিষয়। আর এই নগরটি ছিল ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের জন্য সমগ্র পৃথিবীতে সমাধিক পরিচিত। আর এই নগরী আল মনসুরের সময় থেকে শুরু করে আব্বাসীয় শাসনের শেষ পর্যন্ত রাজধানীর মর্যাদায় আসীন ছিল। এই কারণে বাগদাদ নগরী সম্পর্কে জানতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় বাগদাদ নগরী সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। যারা ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র তাদের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সাবজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে - বাগদাদ নগরী সম্পর্কে যা জান লিখ অথবা বাগদাদ নগরী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। নিম্নে আমি সেই প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে দিয়েছি। আপনারা উত্তরটি পড়ে বাগদাদ নগরী সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বাগদাদ নগরী সম্পর্কে লিখো অথবা বাগদাদ নগরী সম্পর্কে টিকা অথবা বাগদা নগরী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
বাগদাদ নগরী সম্পর্কে টীকা, বাগদাদ নগরী সম্পর্কে লিখঃ
ভূমিকাঃ
আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে খিলাফত লাভ করে যেমন আব্বাসীয় বংশ শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তেমনি একাধারে তিনি প্রজা সাধারণের মঙ্গল সাধনের নিমিত্তে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন। তন্মধ্যে তার চির স্মরণীয় গৌরবময় কীর্তি হলো বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা।
খলিফা মনসুর পারস্যের বিখ্যাত সম্রাট কিসরা নওশিরওয়ানের গ্রীমবাস বাগদাদকে তার রাজধানী করেন। এটি দজলা নদীর পশ্চিম তীরে মনোমুগকর প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত ছিল।
বাগদাদ নগরীঃ
বাগদাদ নগরী দজলা নদীর তীরে অবস্থানের ফলে এ নগরীর সাথে নৌপথে সিরিয়া, মেসোটোমিয়া, আর্মেনিয়া ও সাম্রাজ্যর অন্যান্য স্থানের এবং বহির্বিশ্বের এমনকি সুদূর চীনের সাথে সহজতর যোগাযোগ স্থাপন সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
সিরিয়া, মেসোটোমিয়া প্রভৃতি অঞ্চল হতে আনীত প্রায় এক লক্ষ শ্রমিক ও শিল্পী সুদীর্ঘ চার বছর অর্থাৎ ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে থেকে ৭৬৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ নগরী নির্মাণ করে। এই নগরে নির্মাণ ব্যয় ছিল ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার দিরহাম।
নগরের বর্ণনাঃ
এই নগরটি ছিল বৃত্তাকার ও দুই প্রাচীর বেষ্টিত। এর কেন্দ্রস্থলে রাজপ্রাসাদ, জুমা মসজিদ, প্রধান প্রধান রাজকর্মচারীর অট্টালিকা সমূহ, মানোমুগ্ধকর উদ্যান, কৃত্রিম ফোয়ারা, সুসজ্জিত তোরন, সুবিন্যস্ত রাজপথ ছিলো যা চল্লিশ সাত প্রশস্ত ছিলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ এবং শহরের সু-উচ্চ বুরুজ বিশিষ্ট তোরণগুলোতে সৈন্যগণ পালাক্রমে দিবারাত্রি পাহারা দিত।
শহরবাসীর শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপনঃ
আরব্য উপন্যাসে বর্ণিত রূপকথার ঐশ্বর্যময়ী বাগদাদ তদানীন্তন বিশ্বের বিস্ময় ছিল। কালক্রমে এটা প্রাচ্যের তথা সারা বিশ্বের জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা, সভ্যতা এবং বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। মনসুরের সময় শহরে বসবাসকারী জনসাধারণ সুখ শান্তিতে জীবন যাপন করতো। সেই সময় বাগদাদে এক দিরহাম অর্থাৎ ২৫ পয়সায় এক মন গো-মাংস, ত্রিশ সেরর খাসির মাংস, ৫ সের মধু অথবা ৬ সের ঘি পাওয়া যেতো।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে মনসুর কতৃক চার বছরব্যাপী নির্মিত এই নগরী আব্বাসীয় শাসনের একটি গৌরবময় বিষয়। আর এই নগরটি ছিল ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের জন্য সমগ্র পৃথিবীতে সমাধিক পরিচিত। আর এই নগরী আল মনসুরের সময় থেকে শুরু করে আব্বাসীয় শাসনের শেষ পর্যন্ত রাজধানীর মর্যাদায় আসীন ছিল।
পরিশেষে বলতে চাচ্ছিঃ
এই ছিলো বাগদাদ নগরী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা। আশা করছি আপনারা বাগদান নগরী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা উপরের পোস্ট থেকে বাগদাদ নগরী সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা বাগদাদ নগরী সম্পর্কে লেখ এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। আশা করছি বাগদাদ নগরী সম্পর্কে এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে। যদি এই পোস্ট আপনাদের ভাল লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়াও এরকম আরো নতুন পোস্ট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে মেসেজের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।