মাওয়ালী কারা ? মাওয়ালীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
মাওয়ালী কারা? ইতিহাসে কাদেরকে মাওয়ালী বলা হয়? আমরা অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানিনা। অনেকেই মাওয়ালী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। এই পোস্টে আমি মাওয়ালী সম্পর্কে সকল তথ্য আলোচনা করব। মাওয়ালী কারা? মাওয়ালী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
মাওয়ালী ছিল ইসলাম অধিভুক্ত বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সম্প্রদায়। মুসলমান হওয়ার পর ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান থাকা সত্বেও বিভিন্ন সময়ে সুবিধা বঞ্চিত হয়ে এই সম্প্রদায় বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর উত্থান-পতনে ক্রীড়াঙ্গনের ভূমিকা পালন করে।
মাওয়ালী কারা ? মাওয়ালীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ
নবদীক্ষিত মুসলমানদেরকে মাওয়ালী বলা হয়। আবার অনারব অর্থাৎ আরবের বাইরের মুসলমানদেরকেও মাওয়ালী বলা হয়। আরব মুসলমানদের পরে সমাজে মাওয়ালীদের অধিকার ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীতে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরেও আইনত তারা আরবীয় মুসলমানদের ন্যায় সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধার অধিকারী হলেও কার্যত তাদেরকে সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
ইসলামের খেদমতের ক্ষেত্রে তারা আরব মুসলমানদের চেয়ে অধিক অবদান রেখেছিল। অথচ রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত ছিল। উমাইয়া আমলে এই অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে অমুসলমানদের নেয় জিজিয়া ও খারাজ দিতে হতো।
এমনকি আরব মুসলমানদের সাথে একত্রে একই মসজিদে নামাজ আদায় বা একত্রে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে তাদের যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অতঃপর আব্বাসীয় আন্দোলন শুরু হলে তারা এতে যোগদান করে। উমাইয়াদের পতন ঘটিয়ে আব্বাসীয় বংশ প্রতিষ্ঠাতে মাওয়ালীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে মাওয়ালীরা নবদীক্ষিত মুসলমান হলেও আরব মুসলমানদের ন্যায় সমান সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী ছিল। কিন্তু উমাইয়ারা তাদেরকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তবে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয়রা তাদেরকে এই সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতি যথাযথ মূল্যায়ন প্রদর্শন করছিল।