014 কোন সিম । 014 কোন সিমের নাম্বার । 014 which operator in bangladesh

বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক সিম অপারেটর রয়েছে। প্রত্যেক সিমের নাম্বার এর শুরুর তিনটি সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ সিম এর প্রথম তিনটি সংখ্যা দেখলে বুঝা যায় সেটি কোন সিমের নাম্বার। ঠিক তেমনই অনেকেই জানেন না 014 কোন সিমের নাম্বার বা 014 কোন সিম014 কি নাম্বার সেটা আপনারা এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। 


014 which operator in bangladesh 

আমি এই পোস্টে 013 which operator in bangladesh সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা পুরা পোস্ট পড়লে 014 ki sim সেটি জানতে পারবেন। এছাড়াও ০১৪ যে সিমের নাম্বার সেই সিম সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ০১৪ কোন দেশের নাম্বার বা 014 কোন অপারেটর তা জানতে পুরো পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। 


014-which-operator-in-bangladesh
014 কোন সিমের নাম্বার?


014 কোন সিমের নাম্বার । 014 কি নাম্বার । 013 ki sim । 014 কোন অপারেটরঃ

০১৪ হচ্ছে বাংলালিংক সিমের সিরিয়াল নাম্বার। অনেকেই 014 কি নাম্বার সেটি জানেনা। আমরা সকলেই জানি যে 019 বাংলালিংক সিমের সিরিয়াল নাম্বার। অনেকেই আবার এই নতুন 014 সিরিয়াল নাম্বার দেখে ভাবতেছেন 014 কোন সিমের নাম্বার। বাংলালিংক 019 নাম্বারের সিরিয়াল এর পাশাপাশি 014 সিরিয়ালের নাম্বার বের করেছে। বর্তমানে গ্রাহকরা 014 সিরিয়ালের নাম্বার ব্যবহার করতে পারবে। 


014 এবং 019 সিরিয়াল নাম্বার আলাদা হলেও সকল অফার এবং ইন্টারনেট একই থাকবে। ০১৪ নাম্বার সিরিজের নতুন সিম ০১৯ নম্বর সিরিজের মতোই বাংলালিংকের সকল সিম বিক্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যায়। 014 নতুন সিম কিটের প্যাকেজিং ও মূল্য 019 সিম কিটের মতো একই রয়েছে। 


December 13, 2018 তারিখে বাংলালিংক 014 ফিরিজে নাম্বার নিয়ে আসে। সেই সময় বাংলালিংক থেকে ঘোষণা দেয়া হয় তারা এক কোটি 014 সিরিজের বাংলালিংক নাম্বার বিক্রয় করবে। তখন তারা এটাও বলে যে 019 সিরিজের প্রিপেইড ব্যবহারকারীরা এনআইডি ভেরিফিকেশন করে বিনা মূল্যেই 014 সিরিজের সিম নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবে। 



বাংলালিংক অপারেটর সম্পর্কে বিস্তারিত । 014 number bangladesh 

বাংলালিংক, নেদারল্যান্ডসের ভিওন এর মালিকানাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জিএসএম ভিত্তিক মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ।২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৬৪ মিলিয়ন। প্রতিষ্ঠানটি ওরাসকম টেলিকম বর্তমান গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি ছিল। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলালিংক বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিটিবি সংযোগ থেকে মোবাইল ফোনে বিনামূল্য টেলিফোন কল ধরার সুযোগ করে দেয়। 


২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ১.০৩ মিলিয়ন। পরবর্তী বছরে এসংখ্যা ২৫৩ শতাংশ বেড়ে দাড়ায় ৩.৬৪ মিলিয়ন গ্রাহকে। ২০০৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬.০৪ মিলিয়নে।২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করার এক যুগ পর বাংলাদেশে বাংলালিংক সংযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। 


মোবাইলে যোগাযোগকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী করে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংক-এর সাফল্যের মূলে ছিল একটি সাধারণ মিশন, ‘মোবাইলে যোগাযোগকে সবার নাগালে আনা’, যেটি বাংলালিংক-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।



বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড টেলিকম ভেনচারস লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যা গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড-এর ১০০% মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ভিওন লিমিটেড ও উইন্ড টেলিকম এস.পি.এ-এর ব্যবসা একীভূত হওয়ার পর থেকে ভিওন এখন গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড-এর ৫১.৯% শেয়ারের স্বত্বাধিকারী। 


ভিওন NASDAQ ও ইউরোনেক্সট আমস্টারডাম-এর তালিকাভুক্ত সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৩৫ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে বিপ্লব সৃষ্টি করা। রাশিয়া, ইতালি, আলজেরিয়া, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকস্তান, ইউক্রেন, বাংলাদেশ ও লাওস-এ এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে আসছে। বিলাইন, কাইভস্টার, উইন্ড, জ্যাজ, বাংলালিংক ও জেজি নামে ভিওন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।


আরো পড়ুনঃ 013 কোন সিমের নাম্বার?


বাংলালিংক সিমের ইতিহাসঃ 

১৯৮৯ সালে সেবা টেলিকম (প্রা.) লিমিটেড ১৯৯ টি গ্রামীণ উপজেলায় টেলিফোন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিবন্ধীকরন করে।। পরবর্তীকালে তারা সেলুলার রেডিও-টেলিফোন সেবার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বর্ধিত করে। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে ওরাসকম টেলিকম সেবা টেলিকমের মালয়েশিয়ান অংশীদারীত্ব কিনে নেয়। 


এর কারণ ছিল বাংলাদেশে ব্যবসা প্রসারে মালয়েশিয়ান অংশীদারের ব্যর্থতা। ওরাসকমের সাথে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি গোপনে সম্পাদিত হয়। বিভিন্ন আইনগত ঝামেলা এড়াতে এই গোপন চুক্তি হয়েছিল। গোপনে এই চুক্তি করার প্রধান কারণ ছিল, বাংলাদেশী ও মালয়েশীয় অংশীদারের মধ্যে চুক্তি বিদ্যমান থাকায় যেকোন পক্ষ শেয়ার বিক্রয় করতে চাইলে অন্য পক্ষ তা কেনার প্রথম সুযোগ পাবে।



ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএসএল), যারা সেবা টেলিকমের বাংলাদেশী অংশীদার, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মালয়েশীয় অংশীদার টেকনোলজি রিসোর্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর শেয়ার ১৫ মিলিয়ন ডলারে কিনেছে বলে দেখানো হয়। আইএসএল পরে আরো ১০ মিলিয়ন ডলার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে পরিশোধ করে সেবার দায় শোধ করে। সেবা টেলিকমের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫৯,০০০ যাদের মধ্যে বিক্রির সময় নিয়মিত গ্রাহক ছিল মাত্র ৪৯,০০০।


২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওরাসকম টেলিকম সেবা টেলিকমের ১০০% শেয়ার কিনে নেয়। এরা ৬০ মিলিয়ন ডলার মূলধন বিনিয়োগ করে এবং টেলিফোন ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখে বাংলালিংক। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলালিংক নামে এরা পুনরায় যাত্রা শুরু করে। বাংলালিংকের লাইসেন্স ১৫ বছর মেয়াদী এবং মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১১ সালের নভেম্বরে। গত বছরও তারা ৩জি সেবা দিলেও ২০১৮ সালের মার্চে থেকে তারা ৪জি সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নাম্বার হচ্ছে (+৮৮)০১৯xxxxxxxx (+৮৮)০১৪xxxxxxxx 

তথ্যসূত্রঃ (উইকিপিডিয়া)


আশা করছি আপনারা 014 কি নাম্বার সেটি জানতে পেরেছেন। এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে 014 কোন সিমের নাম্বার সেটি জানানোর পাশাপাশি বাংলালিংক সিমের ইতিহাস জানিয়েছি। এছাড়াও আপনারা বাংলালিংক সিম সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। 


পরিশেষে বলতে চাচ্ছিঃ 

যদি এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা বাংলালিংক অপারেটর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ। 

Share This Article On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url