বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম, কোড ও শর্ত জেনে নিন
অনেক সময় আমাদেরকে বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়। প্রয়োজনের সময় যদি আমাদের বাংলালিংক সিমে টাকা না থাকে তাহলে আমরা টাকা ধার নিতে পারি। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা বাংলালিংক এমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম জানেনা। যদি আপনি বাংলালিংক লোন নেওয়ার নিয়ম না জানেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।
কারণ এই পোস্টে বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড দেয়া হবে। আপনারা বাংলালিংক লোন নেওয়ার কোড জেনে খুব সহজে আপনাদের বাংলালিংক সিমে প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা ধার নিতে পারবেন। তাহলে এবার বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার উপায়, কোড ও শর্তাবলী জেনে নিন-
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার নিয়ম |
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স/ লোন নেওয়ার সুবিধাঃ
মোবাইলে কথা বলতে বলতে হঠাৎ আমাদের মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। অথবা আপনারা বাংলালিংক সিমে ভুল করে টাকা রিচার্জ করতে ভুলে গিয়েছেন এবং প্রয়োজনের সময় দেখতেছেন আপনার মোবাইলে ব্যালেন্স নেই। এই অবস্থায় মোবাইলে যোগাযোগ অথবা ইন্টারনেট চালানোর জন্য আপনি কি করবেন??
নিশ্চয়ই আপনাকে বাংলালিংক সিমে রিচার্জ করতে হবে। কিন্তু সেই সময় যদি আপনার হাতে রিচার্জ করার সময় না থাকে অথবা বাংলালিংক রিচার্জ করার সুবিধা না থাকে তাহলে আপনি কি করবেন?? তবে আপনি যদি বাংলালিংক গ্রাহক হন তাহলে খুব সহজেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার মাধ্যমে মোবাইলে দীর্ঘ সময় কথা বলতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে কাজ করার জন্য আমাদেরকে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
প্রয়োজনের সময় যদি আপনার ইন্টারনেট শেষ হয়ে যায় এবং মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকে তাহলে বাংলালিংক গ্রাহকরা খুব সহজেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার মাধ্যমে ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করতে পারবে। আপনারা বিপদের সময় বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার মাধ্যমে আপনাদের বিপদ কেটে উঠাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক এমবি চেক করার নিয়ম
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম । বাংলালিংক টাকা ধার নেয় কিভাবেঃ
বাংলালিংকে আমরা খুব সহজেই 200 টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবো। আপনি যদি বাংলালিংক গ্রাহক হন তাহলে আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খুব সহজেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। বাংলালিংক গ্রাহকরা কোড ডায়াল করার মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবে। তাহলে বাংলালিংক টাকা ধার নেয় কিভাবে দেখে নিন -
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোডঃ
যদি আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চান তাহলে আপনাকে *৮৭৪# ডায়াল করতে হবে। আপনি *৮৭৪# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। আপনি *৮৭৪# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে যে বাংলালিংক এমার্জেন্সি ব্যালেন্স পাবেন সেই ব্যালেন্স এর মাধ্যমে সবকিছু ব্যবহার করতে পারবেন।
যদি আপনি বাংলালিংক 10 টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চান তাহলে আপনাকে *৮৭৪*১০# ডায়াল করতে হবে। আপনারা *৮৭৪*১০# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনার বাংলালিংক সিমে 10 টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। তবে এখানে সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি আপনার বাংলালিংক সিমে 10 টাকা এমারজেন্সি ব্যালেন্স নেন তাহলে কোন ভ্যাট কাটবে না।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক আমার অফার দেখার নিয়ম
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক কোডঃ
যদি আপনি বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে মাঝেমধ্যে চেক করতে হবে। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনারা *৮৭৪*০# অথবা *১২১*১# ডায়াল করতে পারেন। আপনারা *৮৭৪*০# অথবা *১২১*১# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনাদের বাংলালিং ইমারজেন্সি ব্যালেন্স খুব সহজেই চেক করতে পারবেন।
আপনি কি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাবেন?
যদি আপনি পূর্বে একবার বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকেন এবং সেই ঋণ শোধ না করেন তাহলে আবার বাংলালিংক এমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না। পূর্ববর্তী ঋণ শোধ করার মাধ্যমে আপনারা পুনরায় বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।
কিভাবে বুঝবেন আপনি পূর্বে বাংলালিংক এমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়েছিলেন ?? এছাড়াও আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর জন্য প্রযোজ্য কিনা সেটা জানার একটি উপায় রয়েছে। আপনারা আপনাদের বাংলালিংক সিমে *৮৭৪*৯# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর জন্য প্রযোজ্য কিনা জানতে পারবেন।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার শর্তঃ
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। আপনাকে শর্তগুলো মেনে বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হবে। বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার শর্তগুলো হচ্ছে -
- বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য আপনার বাংলালিংক সিমে 30 টাকার কম থাকতে হবে। আপনার বাংলালিংক সিমে যদি 30 টাকার বেশি থাকে তাহলে আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবে না। তাই আগে চেক করে নিবেন যে আপনার বাংলালিংক সিমে 30 টাকার কম বেশি রয়েছে কিনা।
- যদি আপনি আপনার বাংলালিংক সিমে 15 টাকা অথবা তার বেশি এমারজেন্সি ব্যালেন্স নেন তাহলে ভ্যাট হিসেবে দুই টাকা কেটে নিবে।
- আপনি যদি একবার বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকেন এবং সেই ঋণ শোধ না করেন তাহলে পরবর্তীতে সেই বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাবেন না। পরবর্তীতে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য আপনাকে পূর্ববর্তী ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স শোধ করতে হবে।
- যারা বাংলালিংক নতুন গ্রাহক অর্থাৎ আপনি যদি বাংলালিংক নতুন সিম কিনে থাকেন তাহলে এক মাস পর বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। বাংলালিংক নতুন সিম কেনার এক মাসের মধ্যে আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না।
- বাংলালিংক লোন নিলে পরবর্তী রিচার্জের সময় এমারজেন্সি ব্যালেন্স অটোমেটিক কেটে নিবে।
- ১০০ টাকা অথবা তার নিচের যেকোনো প্যাকেজ বা অফার ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে বকেয়া লোন পরিশোধ হবে (দিনে একবার মাত্র, প্রথম প্যাক রিচার্জে)। অবশিষ্ট টাকা মূল ব্যালেন্সে যোগ হবে।
এই ছিলো বাংলালিংক লোন নেওয়ার সকল শর্তাবলী। আপনি যদি আপনার বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নিতে চান তাহলে উপরের শর্তগুলো মেনে আপনার বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার দুইটি নিয়ম.
বাংলালিংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
এই পোস্টে বাংলালিংক লোন নেওয়ার নিয়ম দিয়েছি। তবে আপনারা বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেন। আপনারা এই পোস্ট সম্পর্কে যেসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেন সেইসব সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেয়া হলো-
০১. বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নেয় কিভাবে?
উঃ কোড ডায়াল করে বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নেয়া যায়। বিস্তারিত উপরে দেয়া হয়েছে।
০২. বাংলালিংক সিমে সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যায়?
উঃ বাংলালিংক সিমে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়া যায়।
০৩. বাংলালিংক এমার্জেন্সি ব্যালেন্স চেক করে কিভাবে?
উঃ *৮৭৪*০# অথবা *১২১*১# কোড ডায়াল করে বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করা যায়।
০৪. বাংলালিংকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবো কিনা বুঝবো কিভাবে?
উঃ *৮৭৪*৯# কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর জন্য প্রযোজ্য কিনা জানতে পারবেন।
০৫. বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স শোধ করবো কিভাবে?
উঃ বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিলে পরবর্তীতে যখন আপনি বাংলালিংক সিমে রিচার্জ করবেন তখন অটোমেটিক আপনার রিচার্জ করা টাকা থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কেটে নিবে।
০৬. বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে এমবি কেনা যায়?
উঃ হ্যাঁ, আপনি বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে এমবি কিনতে পারবেন।
০৭. বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে কি কি করা যায়?
উঃ বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন। অর্থাৎ সাধারণ ব্যালেন্স দিয়ে যেসব করা যায় এমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিয়েও সেইসব করতে পারবেন।
০৮. আমি বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নিতে পারছি না কেন?
উঃ আপনি বাংলালিংক সিমে টাকা ধার নিতে না পারলে প্রথমে চেক করে দেখবেন আপনি লোন নেওয়ার জন্য প্রযোজ্য কিনা। যদি আপনি লোন নেওয়ার জন্য প্রযোজ্য হয়েও বাংলালিংক সিমে লোন নিতে না পারেন তাহলে কাস্টমার কেয়ারে কথা বলবেন।
বাংলালিংক টাকা ধার নেয়া সম্পর্কে আপনারা যেসব সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেন সেইসব প্রশ্নের উত্তর উপরে দেয়া হয়েছে। উপরে দেয়া প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও যদি আপনাদের এই পোস্ট সম্পর্কে আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে এই পোষ্টের কমেন্টে অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের এই পোস্ট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান দিব।
পরিশেষে বলতে চাচ্ছিঃ
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে এই এই পোস্ট আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে। যদি এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় অথবা Banglalink emergency balance নিয়ে বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। তবে এরকম সকল নতুন পোস্টের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকতে ভুলবেন না।
আমার সিমে লোন আসছে না কেনো একটু বলবেন
হয়তো আপনি আগে একবার লোন নিয়েছিলেন কিন্তু পরিশোধ করেননি। অথবা আপনার আগের রিচার্জ করা টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
আচ্ছা যদি লোন এর টাকা এস এম এস নিতে চাই তাহলে কি সেটা সম্ভব হবে?